ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছেন অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা।
অ্যান্ড্রয়েডের পুরোনো সংস্করণগুলোর জন্য আর কোনো নিরাপত্তা আপডেট না ছাড়ার পরিকল্পনা করায় এই ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, বর্তমান সময়ে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ব্যবহার বহুগুণে বেড়েছে।
আধুনিক সব রকম সুযোগ-সুবিধা থাকায় এর ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে।
কিন্তু সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে যে, এইসব অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীকে ভয়াবহ নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, অ্যান্ড্রয়েডের পুরোনো সংস্করণগুলোর জন্য আর কোনো নিরাপত্তা আপডেট না ছাড়ার পরিকল্পনা করছে গুগল।
বিবিসির এক প্রতিবেদনের উদ্বৃতি দিয়ে সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, পুরোনো সংস্করণের অ্যান্ড্রয়েড ওএসের জন্য নিরাপত্তা আপডেট তৈরি করা বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
যে কারণে এই নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা উঠছে।
এতেকরে ৬০ শতাংশের বেশি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী বিশেষ করে যারা অ্যান্ড্রয়েড জেলি বিন, ৪.৩ অথবা এর চেয়ে পুরোনো সংস্করণগুলো ব্যবহার করেন তাদের ওপর প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে অ্যান্ড্রয়েডের এই নিরাপত্তা বিষয়টিকে ‘সাইবার দুর্বৃত্তদের জন্য দারুণ এক খবর’ বটে।
সংবাদ মাধ্যমে বলা হযেছে, সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান র্যাপিড৭-এর গবেষক টড বেয়ার্ডসলি, জো ভেনিক্স ও রাফি ব্লোচ নামের আরেক গবেষক মিলে অ্যান্ড্রয়েডে ওয়েবপেজ প্রদর্শনে ব্যবহৃত ওয়েবভিউ নামে একটি অংশের নিরাপত্তা ত্রুটি বিষয়ে গুগল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।
গুগল নতুন প্যাঁচ আপডেট করার পরিবর্তে জানিয়ে দেয়, এখন তারা শুধু কিটক্যাট ৪.৪ ও ললিপপের ৫.০ নিরাপত্তা ত্রুটি ঠিক করতেই কাজ করবে।
সংবাদ মাধ্যম বলেছে, একটি ব্লগ পোস্টে বেয়ার্ডলি বলেছেন, ‘গুগল বলেছে, গবেষকেরা যদি পারেন তারা এখন হতে অ্যান্ড্রয়েডের পুরোনো সংস্করণের নিরাপত্তা আপডেট ছাড়তে পারেন, গুগল এখন হতে আর এটি করবে না।
গুগলের অ্যান্ড্রয়েড সহযোগীদেরও বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে গুগল।
যে কারণে ৯৩ কোটিরও বেশি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী গুগলের এই নিরাপত্তা আপডেট না পেয়ে রীতিমতো বিপদে পড়ে যাবেন বলে বিশেষঙ্গরা ধারণা করছেন।
যদিও পুরোনো সংস্করণে নিরাপত্তা আপডেট না আনলেও মাল্টিমিডিয়া প্লেয়ার আপডেট নাকি অব্যাহত থাকবে।
তবে অ্যাপ্লিকেশন নীতিমালার ক্ষেত্রেও গুগল সজাগ থাকবে- এমনটিই জানা গেছে।
অবশ্য গুগলের এই নীতিমালা পরিবর্তন প্রসঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই এখনও জানানো হয়নি। আবার গুগলের কোনো কর্মকর্তাও মুখ খোলেননি।